সাভারে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও মারধরের অভিযোগ

সাভারে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও মারধরের অভিযোগ

সাভারে সরকারি রাস্তার ড্রেনের কাজ থেকে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে ইউপি সদস্যের ভাতিজাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সোহেল রানার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল করিমের ছেলে মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইসলাম শরীফ বাদী হয়ে সোমবার (৩০ আগস্ট) রাতে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্তরা হল সাভার পৌরসভার ডগরমোড়া এলাকার আহাম্মদ আলীর ছেলে সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা (২৬), চাপাইন এলাকার আজিম উদ্দিনের ছেলে রাইসুল ওরফে বাবু (২৩) ও তার সহযোগী ইসরাফিল (২৮)।

 

ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য আব্দুল করিম অভিযোগ করেন, সরকারি রাস্তার ড্রেনের কাজ করার সময় ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানার নির্দেশে সেখানকার কিছু ইট আমার হেফাজতে রাখি। রোববার রাতে সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার নেতৃত্বে ১০ টি মোটরসাইকেলে করে প্রায় ২০ জন সন্ত্রাসী এসে রাস্তার কাজে বাধা দেয়। এর আগে রাইসুল ওরফে বাবু আমাকে ফোন করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু আমি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় সন্ত্রাসীরা স্থানীয় কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। তাদেরকে বাঁধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা আমার ভাতিজাসহ কয়েকজনকে মারধর করে। এছাড়া পরবর্তীতে রাস্তার কাজ করতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।

সন্ত্রাসীদের মারধরে আহত লেবার হাফিজুর রহমান বলেন, আমি রাস্তার কাজ করার সময় কয়েকজন ছেলে মোটরসাইকেলে করে এসে আমাদের কাজ বন্ধ করে দেয়। আমি বাঁধা দেয়ায় তারা আমাদেরকে মারধর করে।

স্থানীয়রা জানায় রবিবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে লেবার হাফিজুর রহমান, আনোয়ার, খোকা মিয়া, আবু কালামসহ কয়েকজনকে মারধর করে। এছাড়া পরবর্তীতে তাদের নির্দেশ ছাড়া কাজ করলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ সময় স্থানীয় বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর করা ব্যবসায়ী এলাকাবাসীরা আতঙ্কে রয়েছেন।

তবে অভিযুক্ত ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল রানা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মারধরের সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না এবং চাঁদা দাবির বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে দুই গ্রুপে জামেলার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে সরিয়ে দেই এবং বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ সোহেল রানাকে জানাই। তিনি বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদে বসে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

জানতে চাইলে সাভার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ সোহেল রানা বলেন, আমি মেম্বারকে এড গুলো তার হেফাজতে রাখতে বলেছি। এরপরও কেন ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল রানা বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা করলো সেটা নিয়ে আমরা ইউনিয়ন পরিষদে বসে শুনব এবং সমস্যার সমাধান করবো।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে জানতে পেরেছি। এঘটনায় সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন